বরগুনার আমতলী উপজেলার দু’ইউনিয়নের সংযোগ সেতু চাওড়া খালের উপর নির্মিত মালাকার বাড়ী সংলগ্ন আয়রণ ব্রিজটি ভেঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এতে ওই দুই ইউনিয়নের ৭টি গ্রামের শিক্ষার্থীসহ প্রায় ১৫ হাজার মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছে।

উপজেলা প্রকৌশলী বিভাগ ও স্থাণীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০০৪ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ সদর ইউনিয়নের মহিষডাঙ্গা গ্রাম এবং চাওড়া ইউনিয়নের কাউনিয়া গ্রামের সংযোগ স্থাপনের জন্য চাওড়া খালের উপড় হাফেজ উদ্দিন মালাকার বাড়ী সংলগ্ন স্থানে ১ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩৫০ মিটার দৈর্ঘ্যরে একটি আয়রণ ব্রিজ নির্মাণ করে।

ওই ব্রিজটি ব্যবহার করে সড়ক পথে কাউনিয়া ইব্রাহিম একাডেমি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, চাওড়া চলাভাঙ্গা সরকারী প্রাথমিক, মহিষডাঙ্গা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, শামিম আহসান দাখিল মাদ্রাসা, পশ্চিম চিলা আমিনিয়া ফাজিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থীসহ দুটি ইউনিয়নের ৭ গ্রামের প্রায় ১৫ হাজার মানুষ উপজেলা সদরসহ ২টি ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামে যাতায়াত করতো।

নির্মাণের ১৮ বছর পরে গতকাল (বৃহস্পতিবার) দুপুরে ওই আয়রন ব্রিজটি মাঝখান দিয়ে হঠাৎ ভেঙ্গে খালে পড়ে যায়। এতে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পরেছে দুই ইউনিয়নের ৭ গ্রামের মানুষ। ভোগান্তিতে পরেছে প্রায় ১৫ হাজার মানুষ। দ্রুত ব্রিজটি নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

আজ সকালে গিয়ে দেখা যায়, ওই আয়রণ ব্রিজটির মধ্যের অংশ ভেঙ্গে খালের পানিতে তলিয়ে রয়েছে। ব্রিজটি দিয়ে মানুষজন এখন আর পারাপার হতে পারছেনা। খালের দুই পারের মানুষ ভেঙ্গে পড়া আয়রণ ব্রিজটি দেখতে ভীর করছেন।

মহিষডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্ধা মোঃ সোবাহান কাজী বলেন, এ ব্রিজটি ভেঙ্গে পড়ায় দুই ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সহা¯্রাধিক শিক্ষার্থীসহ ৭টি গ্রামের প্রায় ১৫ হাজার মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গেছে।

উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ আল মামুন বলেন, আয়রণ ব্রিজটি ভেঙ্গে যাওয়ার সংবাদ পেয়ে সেখানে লোক পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি যথাযত কর্তৃপক্ষের কাছে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পাঠানো হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আসাদুজ্জামান মুঠোফোনে বলেন, ভেঙ্গে যাওয়া ব্রিজ এলাকা পরিদর্শন করে মানুষের যাতে দুর্ভোগ পোহাতে না হয় দ্রুত সেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।